About us`সাংবাদিকদের সাথে, সাংবাদিকদের পাশে'
ভারত ও বাংলাদেশ আজ দুটি পৃথক দেশ হলেও জন্মসূত্রে আমরা একই মায়ের দুটি সন্তান। আমাদের এই মৈত্রী বহু যুগের, আর সেই মিতালি কেই আরও সুন্দর ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের এই ‘ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব।
২০২২ সালের ১৪ মার্চ, কলকাতার মাটিতে আত্মপ্রকাশ ঘটে `ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব’। আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করে ২৪ আগস্ট। সেদিনই বাংলাদেশ গণমাধ্যমের প্রত্যেক কলকাতা প্রতিনিধি সদস্য পদ নেন। ইতিমধ্যেই প্রেসক্লাবের সদস্য হতে উৎসাহের বার্তা এসেছে আসাম, ত্রিপুরা এবং দিল্লি থেকেও। পাশাপাশি সদস্য হতে উৎসাহ দেখাচ্ছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও |
Core Valuesসদস্যদের পাশে যে ভাবে থাকতে চায় ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব
আমাদের লক্ষ্য
সংবাদ সংগ্রহটা আমাদের মূল লক্ষ্য। যারা সাংবাদ সংগ্রহের সাথে যুক্ত, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত, তাদেরকে নিয়ে ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেই গ্রুপে ভারতের যে প্রান্তে বাংলাদেশ নিয়ে খবর করার মত তথ্য থাকবে, তা সেই গ্রুপে শেয়ার করা হবে। ভারতে অবস্থিত ৬ বাংলাদেশ মিশন দ্বারা তথ্য, যা সংবাদ করা যায়, সেসব তথ্য গ্রুপে দেওয়া হবে।
সুযোগ-সুবিধা
সদস্যরা যাতে দুই দেশে গিয়ে সহজলভ্য ভাবে থাকা-খাওয়া করতে পারে এই রকম একটা পরিকল্পনা আছে। পাশপাশি দুই দেশের যানবাহনে ভরতুকি বা ডিসকাউন্টের পরিকল্পনা আছে। একই পরিকল্পনা আছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গণমাধ্যমে কর্মরত প্রেসক্লাবের সদস্যদের কলকাতায় আসার ক্ষেত্রেও।
পাশে আছি
অনৈতিকভাবে কোনও সদস্যের বাংলাদেশ মিডিয়া থেকে চাকরি গেলে ক্লাব সাধ্য এবং সামর্থ্য মতো সেই সদস্যের পাশে দাড়াবে। তবে এটাও উল্লেখ্য যে, কোনো প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিরোধী কাজ বা ওই ধরনের কিছু করে চাকরী গেলে ক্লাব কোনো সহযোগিতা করবে না। এর পাশাপাশি ক্লাবের কোনও সদস্যের সন্তান অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে না পারলে ক্লাবের সহযোগিতার পরিকল্পনা আছে।
সচেতনতা
ভারত - বাংলাদেশ দুই দেশের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মৈত্রী সম্পর্ক নষ্ট হয়, এমন কোনো সংবাদ পরিবেশনের আগে সদস্যদের যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।
সদস্যপদ নির্ণায়ক
ব্যক্তি বিশেষে সদস্যপদ কাদের দেওয়া যেতে পারে, আর কাদের নয়, তার ক্লাব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কোনো সদস্য অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হলে এক্সিকিউটিভ কমিটি তার সদস্যপদ বাতিল করতে পারে।
যোগদান
বছরে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যেকটি অনুষ্ঠান হবে, তাতে সদস্যদের একান্ত উপস্থিত থাকতে হবে। না থাকলে তার কারণ দর্শাতে হবে।
- ভবিষ্যতে প্রতি সদস্যদের দুর্ঘটনাজনিত বীমা করার পরিকল্পনা আছে।
- বছরে ক্লাবের পক্ষ থেকে সদস্যদের মেডিকেল ফ্রি চেকআপ করানো হবে।
- কোনো সদস্য হঠাৎ কোনো শারীরিক বিপদ বা দুর্ঘটনায় পড়লে ক্লাব নিরলস ভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা করবে।
- যে সদস্য ক্লাবের জন্য বিজ্ঞাপন বা স্পন্সর এনে দেবে, সেই অর্থের একটা অংশ ওই সদস্যকে দেওয়া হবে।
- সদস্যদের সাথে ক্লাবের যে কোনো আর্থিক লেনদেন মানি রশিদ ছাড়া বিবেচিত হবে না।
- সাংবাদিকদের পাশপাশি কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক, বিনোদন জগতের সাথে যুক্ত, প্রফেশনাল বা ব্যবসায়ীদেরও সাম্মনিক সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়টি ভাবনা চিন্তায় রয়েছে। তবে ব্যক্তি বিশেষ কাদের দেওয়া যেতে পারে, আর কাদের নয়, তা ক্লাব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
- ভবিষ্যতে কোনও সদস্য যদি ক্লাব বিরোধী কাজ করে থাকে বা এমন কোনও কাজ করলো যাতে ক্লাবের বদনাম হতে পারে- সেই সদস্যদের, সদস্যপদ যে কোন মুহূর্তে বাতিল হতে পারে।
- অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হলে এবং তার প্রমাণ ক্লাবে জমা পড়লে এক্সিকিউটিভ কমিটি সদস্যপদ বাতিল করতে পারে।
- এটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার করার বিষয়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার (চাকরী ও স্বাস্থ্য) দিকে খেয়াল রাখা।
- ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী এবং সুসম্পর্ক স্থাপন করার কাজ আমরা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে করে থাকি। সেটাতে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা।
- বছরে এক বা দুইবার বাংলার সাংবাদিকতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কার দিয়ে উৎসাহ দেবার পরিকল্পনাও রয়েছে।
- ক্লাবের মুখপাত্র যখন তৃতীয় কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিদের সাথে কথা বলবে, বাকিদের যদি সে সময় কোন বিষয় মতভেদ বা কথা থাকে তা সরাসরি নোট বা চিরকুট মাধ্যমে মুখপত্রকে সহযোগিতা করবে। তবে মুখপাত্র যদি সংশ্লিষ্ট সদস্যকে কথা বলার নির্দেশ দেয়, তখনই সে বলার সুযোগ পাবে।
- ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য পেতে হলে সেই সদস্যদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে চিঠি দিয়ে জানাতে হবে। ক্লাব কমিটি যে কোনও পরিষেবা দিতে সহায়তা করবে, তবে বাধ্য থাকবে না।